মোট পৃষ্ঠাদর্শন

সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

কাল রাতে, আকাশগঙ্গায়

.................................................
কাল রাতে আকাশগঙ্গায় খন্ডিত জ্যোৎস্নার মনস্বী আলোয়
কার মুখ ভেসে যায়? স্পষ্ট দেখলাম : আমার মৃতপ্রায়
বিষণ্নতাগুলো নীল হরিণ হয়ে হাতের নাগালে ছুটোছুটি করছে।
কি হলো কে জানে! আচ্ছন্ন ঘুমের মধ্যে হেঁটে রাস্তায়
বেরিয়ে এলাম মাঝরাতে, ফুটপাতে চিতা জ্বালিয়ে
কারা যেন অংশত পুনর্জন্মের গল্পে মশগুল;
এই কি পুনর্জন্ম নয়? যখন বুকের মাঝে আষ্টেপৃষ্ঠে
জড়িয়ে রাখা পদ্ম খুলে শাদা অবতল দুঃখগুলো হারিয়ে
কাঁদছি নিরন্তর; স্মৃতির ভেতর জাপটে ধরে অজয় মানুষ,
স্মৃতির ভেতর আমায় নির্লজ্জ চুমু খায় কারা? সুদূর
দূর হতে কদাচিৎ দেখা গেলো এক বিরান সমাধিসৌধের নিচে
থরে থরে বসে রয়েছে মানুষের বিবস্ত্র আত্মা;
আমি তাদের হেসেই উড়িয়ে দিলাম।

এরপর ভয়ঙ্কর দৃশ্য ফোটে - দেয়ালে, দরদালানের গায়ে;
কিছু ক্রুর প্রেতাত্মা পাঁজরের বল্লম হাতে আমার দিকে
তাড়িয়ে আসছে। আমি দ্বিধামুখে পাথরযুদ্ধ শেষে
ঘরে ফিরে যেতে দেখলাম সমাধিসৌধের সেইসব
জ্যোতির্ময়ী আত্মারা আমার পূর্বপুরুষ, তারা শৃঙ্খলিত
ক্রুশকাঠে। স্মৃতির আয়নায় আলিঙ্গন করা সে সকল
উচ্ছ্বল মানুষ আমার মীমাংসাহীন শত্রু, প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায়
প্রার্থনার সময় আমার মুন্ডুপাত করে; যারা চিতার আগুন জ্বেলে
পুনর্জন্মবিমোহিত গীত গায়, তারা লেজঝোলা পাখিদের শব;
আর উপদ্রুত সেই ঝর্নার পাশের নীল হরিণীরা
আকাশগঙ্গায় নির্বান নক্ষত্রের মতো আমার শ্যামল বোনেদের
অক্ষয় মুখ হয়ে ভাসছে অমাকাল।